প্রকাশ :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে জুলাইয়ে অস্থিতিশীলতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অচল ছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কিন্তু এ সময় কনটেইনার উঠা-নামা পুরোদমে বন্ধ থাকায় জট সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পরিবহন সংকটে এ জট ক্রমশ বেড়ে ৮৫ শতাংশেরও বেশিতে রূপ নেয়। যা বর্তমানে মোট ধারণক্ষমতার ৭৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ অবস্থায় জট নিরসনে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শনিবারও পুরোদমে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার ইমাম গাজ্জালী।
তিনি বলেন, ‘কাস্টমসের সব কাজ অনেকটা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে টানা পাঁচদিন পর ব্রডব্যান্ডসহ মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। প্রথমদিনে কিছু বিল অব এন্ট্রি থাকা চালানের কাজ ম্যানুয়ালি করলেও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। ওই সময় বিল অব এন্টি ও বিল অব এক্সপোর্টের কাজ করা সম্ভব হয়নি। সেকারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনার জমে যায়। এ অবস্থায় ওয়ার্কিং ডে (কর্মদিবস) না বাড়িয়ে কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না। তাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনার মহোদয় শনিবার (১৭ আগস্ট) পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।’