নোটিশ
পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। Test AiR ।। পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। একটি নিউজ মিডিয়া হাউজের জন্য অফিস এডমিন পুরুষ-মহিলা আবশ্যক ।। কাজের বিবরণী লামিয়া রিত্রুুটিং এজেন্সীর একটি প্রতিষ্ঠান ( বিবিএন নিউজ ) জন্য কিছু স্যংখক পুরুষ - মহিলা অফিস এডমিন নিয়োগ করা হবে । সকাল ৯টা থেকে ৭ টা এইচ এসসি / স্নাতক ১) অফিস ম্যানেজ করা ২) অফিসিয়াল মেইল চেক করা/ মেইল করা / ফেইসবুক নটিফিকেশন চেক করা ৩) কাস্টমার রিলেশন করা ৪) ফোন কল রিসিভ করা ৫) নিউজে ভয়েস ওভার জানলে বিশেষ যোগ্যতা হইবে । যোগাযোগ : হেড অফ নিউজ : 01997301375 সৈৗদিতে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চান ? বাংলাদেশের জন্য রেমিটেন্স যোদ্বা হতে চান ? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র রামপুরাস্থ মেসার্স লামিয়া ওভারসীজের সাথে, ফোনে যোগাযোগ করতে 01972881111 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত, আহত, নিখোঁজ অথবা গুম ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তৈরি করা এ পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে ‌'রেড জুলাই ডট লাইভ' । এখন থেকে বিবিএন নিউজ পরিবার রেড টু জুলাই এর সাথে কাজ করবে । www.redjuly.net

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান

ডেক্স নিউজ

প্রকাশ :


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। 
এ মামলায় আজ আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বাসসকে আজ এ কথা জানান। 
তিনি বলেন, পলাতক দেখিয়ে মাহমুদুর রহমানের অনুপস্থিতিতে এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় বিচারিক আদালত। এডভোকেট মেজবাহ জানান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আমরা এ মামলায় আপিলের শর্তে জামিন চেয়েছিলাম। মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করবো।
এ আইনজীবী বলেন, সাজার মেয়াদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের জামিন দেয়ার এখতিয়ার না থাকায় তাকে কারাগারে যেতে হলো। কারাগারে তাকে ডিভিশন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মাহমুদুর রহমান প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় একসময় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আইন অনুযায়ীই তিনি কারাগারে ডিভিশন পাবেন।
এডভোকেট মেজবাহ বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেয়া হয়। প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন-জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান। তাকে বরণ করতে বিমানবন্দরের বাইরে সমবেত হয় হাজারো ছাত্র-জনতা।
একসময়ের বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এসব দায়িত্ব পালন শেষে তিনি সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখনির কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়। 
তিনি বিগত সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ও আপোষহীন ছিলেন।  

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত