প্রকাশ :
মোলদোভায় রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ভোটাদাতাদের মধ্যে ছিল বেশ চাপা উত্তেজনা। কারন নির্বাচনটিতে ভোটাররা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে গণভোটে জোরালো ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। রাশিয়ার হস্তক্ষেপের আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে হলেও, এই নির্বাচন দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ পেতে চাওয়ার প্রশ্নে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চিসিনাউ থেকে এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ইইউ-পন্থি ক্ষমতাসীন মাইয়া সান্দু ৪২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে অপর প্রার্থী রুশ সমাজতন্ত্রীদের দ্বারা সমর্থিত এবং গত বছর প্রেসিডেন্ট সান্দু কর্তৃক বরখাস্তকৃত প্রসিকিউটর জেনারেল আলেকজান্ডার স্টোইয়ানোগো পেয়েছেন ২৬ শতাংশ ভোট।
বিশ্লেষকরা দ্বিতীয় ভোটে একটি কঠিন লড়াইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। গত সপ্তাহান্তে জর্জিয়া ভোটের মতো ক্ষমতাসীন দল একটি বিতর্কিত সংসদীয় নির্বাচনে সংকীর্ণ ব্যবধানে জয়লাভ করে। দুই সাবেক সোভিয়েট প্রজাতন্ত্রকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটারদের প্ররোচিত করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তারা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
গনভোটে ৫০.৩৫ শতাংশ ইউ সদস্য সমর্থন করে। তবে ৫২ বছর বয়সী পশ্চিমাপন্থী সাবেক বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ সান্দু ইইউ ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপকে দায়ি করেন। পুলিশ বলেছে, তারা একটি ভোট কেনার একটি রাশিয়ান স্কিম উন্মোচন করেছে, যা ব্যালটের এক চতুর্থাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের জন্য, ভোট কেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় খোলা এবং ৯ টা পর্যন্ত ভোট অব্ যাহত থাকার কথা।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর, স্যান্দু ২৬ লাখ জনসংখ্যার মোলদোভাকে ইইউতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিল। জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আলোচনা শুরু করা হয়।