প্রকাশ :
ভারতের মনিপুরে গত দুদিন ধরে ছাত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পরে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে কোনও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় নি, যদিও রাজধানী ইম্ফলে উত্তেজনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ইম্ফলের সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াই রূপাচন্দ্র সিং বলছেন যে কাল রাত পর্যন্তও তিনি অশান্তির খবর পেয়েছেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত নতুন করে কোনও ঘটনা হয়নি। খবর বিবিসি বাংলার।
রাস্তায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টহল চলছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
রাজ্যে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরও দুই হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে ওই রাজ্যে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মঙ্গলবার থেকে ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাতে প্রথমে পুরো রাজ্যে, তারপর সেই নির্দেশ বদল করে পাঁচটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যপালের বাসভবন রাজভবনের কাছে ছাত্র আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে ছাত্ররা রাজভবনের দিকে এগোচ্ছিল।
ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫৫ জন ছাত্র আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
রাজভবন থেকে রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ছাত্রদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি সনদ পেশ করেছে।
ছাত্র বিক্ষোভের জেরে রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলি বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে কাংপোকপি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পিটিআই জানিয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে মনিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। রাজ্য পুলিশ বলছে কথিত কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি মেইতেই এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে বোমা ফেলতে শুরু করার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।