প্রকাশ :
কুমিল্লা শহরের মোগলটুলিতে যোবায়েরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ছোট একটা ঘরে বসে আঙুল নাড়িয়ে, মাউস দিয়ে কম্পিউটারে কাজ করছেন যোবায়ের। এভাবে কাজ করে মাসে আয় করেন ৩০ হাজার টাকার বেশি। মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে কুমিল্লায় বসে করেন বিদেশি গ্রাহকদের কাজ। তিন চার বছরে প্রায় ৫০ দেশের ৩০০টির বেশি কাজ করেছেন।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এ কে এম মমিনুল ইসলাম ও গৃহিণী জেবা ইসলামের তৃতীয় ছেলে যোবায়ের হোসেনের জন্ম ২০০০ সালের ৬ মে। একটু বড় হওয়ার পর শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও উপসর্গ দেখে চিকিৎসকেরা জানান, যোবায়ের স্পাইনাল মাসক্যুলার অ্যাট্রোফি নামের স্নায়ু ও পেশির জটিল রোগে আক্রান্ত। এটি জন্মগত ভাবে সৃষ্ট মেরুদন্ডের একটি ত্রুটি, যে কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চালিত হতে পারে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে চলনশক্তি কমতে থাকে রোগীর। যোবায়েরের বড় দুই ভাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। ছোট বোন স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
যোবায়েরের মা জেবা ইসলাম বাসসকে বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত যোবায়ের স্কুলে আনা-নেওয়া করেছি। তবে ওই সময় থেকে ওর লেখার গতি কমতে থাকে। শারীরিক জটিলতা বাড়তে থাকায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে স্কুলে যাতায়াত বাদ দিতে হয়। শুধু পরীক্ষায় অংশ নিতে স্কুলে যেতেন। দশম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রুতলেখক হিসেবে ছিলেন তাঁর ছোট বোন।