প্রকাশ :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনও প্রাসঙ্গিক।
আগামীকাল ২৫ মে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে দেয়া আজ এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘কবি নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতার সংগ্রাম ও কর্মে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
তিনি বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর বিদায় এবং বিংশ শতাব্দীর আগমন লগ্নে নজরুলের জন্ম। তখন বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি। একদিকে দারিদ্র্য অন্যদিকে দেশমাতার পরাধীনতা কবিকে মুক্তির আকাক্সক্ষায় পাগলপ্রায় করে তুলেছিল। কবি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাজদ্রোহের অপরাধে কারাবরণ করেন। কবিতাকে বেছে নেন প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে।