প্রকাশ :
দিনটি ছিল ১৯ জুলাই শুক্রবার। স্ত্রী সন্তান অপেক্ষায় ছিলেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটিকে হারিয়ে এক শিশু পুত্রকে নিয়ে এখন দিশেহারা তার অসুস্থ সন্তান সম্ভবা স্ত্রী। অনাগত সন্তানের মূখ দেখে যেতে পারলেন না মোসলেহ উদ্দিন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরা বাংলাদেশ টেলিভিশনের পিছনে আতিক মসজিদের পাশে রামপুরা ডেমরা সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ১৯ জুলাই শুক্রবার নির্মমভাবে নিহত হন লন্ড্রিম্যান মো. মোসলেহ উদ্দিন।
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর মোসলেহ উদ্দিনের পরিবারের খোঁজ রাষ্ট্র বা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ নিতে আসেননি। তবে মোসলেহ উদ্দিনের শহিদ হওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনের প্রয়োজনে বাসসসহ দুজন গণমাধ্যমকর্মী এসেছেন।
রাজধানীর রামপুরা বিটিভির পিছনে বনশ্রী আবাসিক এলাকার ব্লক-এ এর আতিক মসজিদের গলিতে একটি লন্ড্রি (মদিনা লন্ড্রি) পরিচালনা করতেন মোসলেহ উদ্দিন। তিনি ১৯ জুলাই শুক্রবার দোকান বন্ধ করে জুমার নামাজ আদায় করেন আতিক মসজিদে। ওই সময় রামপুরা-ডেমরা সড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছিল। এ সময় বিটিভির পাশ থেকে আন্দোলনকারীদের দিকে নির্বিচার গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়কে অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারী ও জুমার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লিরা যার যার বাসায় যেতে সড়কে একাকার হয়ে যায়। ওই সময় বিটিভির পাশে অবস্থান নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি এসে মোসলেহ উদ্দিনের বুকে ও গলায় বিদ্ধ হয়। আশপাশের লোকজন তাকে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।