প্রকাশ :
হংকং একাদশের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির প্রীতি ম্যাচে লিওনেল মেসির মাঠে না নামা নিয়ে চর্চা চলছে এখনও। মেজর সকার লিগের ক্লাব ও আর্জেন্টাইন মহাতারকার ব্যাখ্যায়ও দর্শকদের অসন্তোষ কমেনি। দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ পর মেসি ফের পরিষ্কার করলেন নিজের অবস্থান। এক ভিডিও বার্তায় বললেন, অনেক চেষ্টার পরও সেদিন চোটের কারণেই খেলতে পারেননি তিনি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীন সফরে হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি খেলে ইন্টার মায়ামি। দলটির ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ওই ম্যাচে পুরোটা সময় বেঞ্চে বসে কাটান মেসি।
দর্শকদের পাশাপাশি হংকংয়ের রাজনীতিবিদরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমালোচনায় সরব হয় চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম। আগামী মাসে চীনের হাংঝুতে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ম্যাচটি ইতোমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ।সবকিছু শান্ত করার উদ্দেশ্যে সোমবার মেসি চীনের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ‘উইবো’-তে সেদিনের ঘটনা তুলে ধরলেন।
“হংকংয়ের সেই ম্যাচের পর অনেক কথা বলা হয়েছে, আমি সেসব শুনেছি ও পড়েছি। সত্যিকারের কারণটা জানাতে এবং কারো যেন ভুল কোনো তথ্য পড়তে না হয়, সেজন্যই আমি এই ভিডিও বার্তা দিচ্ছি। অনেককে বলতে শুনেছি যে, রাজনৈতিক কারণে আমি ওই ম্যাচে খেলিনি। আরও অনেক কথা বলা হয়েছে, যার কোনোটিই সত্যি নয়।”
৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে সেদিন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ৫ হাজার হংকং ডলারে (৬৪০ মার্কিন ডলার) টিকেট কেটেও খেলা দেখেন অনেকে। মেসি মাঠে না নামায় খেলা চলার সময় স্লোগান দিতে থাকেন দর্শকরা। ম্যাচের শেষ দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। টিকেটের অর্থ ফেরত চেয়ে অনেকে বলতে থাকেন, ‘রিফান্ড…রিফান্ ড।’প্রবল চাপের মুখে দর্শকদের টিকেটের অর্ধেক অর্থ ফেরত দেওয়ার কথাও জানায় আয়োজকরা। তখন তাদের পক্ষ থেকেও মেসিকে না খেলানোর যথার্থ কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওই ম্যাচের তিন দিন পর জাপান সফরে দেশটির ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বদলি হিসেবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় খেলেন আটবারের ব্যালন দ’র জয়ী, তাতে হংকংয়ের দর্শকদের ক্ষোভ বাড়ে আরও।