প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তিনজন করে প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রীয় খরচে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পাঠানোর সুযোগ চেয়েছেন। এ নিয়ে রীতিমতো তারা দরকষাকষিতে নেমেছেন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কমিটি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।'
* তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, এ বছর আগের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে কমসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই রাষ্ট্রীয় খরচে হজযাত্রী নেওয়ার সংখ্যাও কমেছে। প্রত্যেক সদস্যকে দু'জন প্রতিনিধি পাঠানোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ আলোচনা হয়। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কতজন করে প্রতিনিধি পাঠানোর সুযোগ পাবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি
* সংসদীয় কমিটির প্রধান কাজ কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা এবং বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া বা সুপারিশ করা। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা নিলে তা স্বার্থের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।
' সংসদীয় কমিটির সদস্যরা কেন সরকারি খরচে তাদের প্রতিনিধিদের হজে পাঠাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী বলেন, এটি আগে থেকেই হয়ে আসছে। যারা এই ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য, তাদের ও
পর নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি থাকে হজে পাঠানোর। এই কমিটির সঙ্গে যারা আছেন তাদের কাছে অনেকেই সরকারি খরচে হজে যাওয়ার দাবি নিয়ে আসছেন।'
'' সংসদীয় কমিটি ভাগ চায় রাষ্ট্রীয় খরচে হজ যাত্রায় ''
* কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে গতকালের বৈঠকে কমিটির সদস্য ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, শওকত হাচানুর রহমান রিমন, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও বেগম রত্না আহমেদ অংশ নেন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ১০ জন। প্রত্যেকের তিনজন প্রতিনিধিকে হজে পাঠাতে হলে কমিটির সদস্যদের সুপারিশে মোট ৩০ জনকে হজে পাঠাতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে জনপ্রতি চার লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা খরচ হবে। এর আগে ২০১৯ সালে সংসদীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্যের সুপারিশে পাঁচজন করে সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যাওয়ার সুযোগ পাননি।
* সংসদীয় কমিটির সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় সদস্যদের প্রতিনিধিদের হজে পাঠানোর বিষয়টি আলোচনায় এনেছিলেন কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল। তিনি আগের মতো সংসদীয় কমিটির সদস্যদের জন্য পাঁচজন করে প্রতিনিধিকে হজে যাওয়ার সুযোগ রাখার অনুরোধ করেন। কমিটির সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তার বক্তব্যে সমর্থন জানান। পরে তাদের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আগের মতো পাঁচজন করে প্রতিনিধিকে হজ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে কমিটি।
' বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর আগের চেয়ে কম মানুষ হজে যাবেন। মন্ত্রী বলেছেন, সংসদীয় কমিটির সদস্যরা দু'জন করে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবেন। তবে কমিটির সদস্যরা তিনজন করে পাঠানোর সুযোগ দিতে বলেছেন। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।'