নোটিশ
পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। Test AiR ।। পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। একটি নিউজ মিডিয়া হাউজের জন্য অফিস এডমিন পুরুষ-মহিলা আবশ্যক ।। কাজের বিবরণী লামিয়া রিত্রুুটিং এজেন্সীর একটি প্রতিষ্ঠান ( বিবিএন নিউজ ) জন্য কিছু স্যংখক পুরুষ - মহিলা অফিস এডমিন নিয়োগ করা হবে । সকাল ৯টা থেকে ৭ টা এইচ এসসি / স্নাতক ১) অফিস ম্যানেজ করা ২) অফিসিয়াল মেইল চেক করা/ মেইল করা / ফেইসবুক নটিফিকেশন চেক করা ৩) কাস্টমার রিলেশন করা ৪) ফোন কল রিসিভ করা ৫) নিউজে ভয়েস ওভার জানলে বিশেষ যোগ্যতা হইবে । যোগাযোগ : হেড অফ নিউজ : 01997301375 সৈৗদিতে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চান ? বাংলাদেশের জন্য রেমিটেন্স যোদ্বা হতে চান ? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র রামপুরাস্থ মেসার্স লামিয়া ওভারসীজের সাথে, ফোনে যোগাযোগ করতে 01972881111 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত, আহত, নিখোঁজ অথবা গুম ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তৈরি করা এ পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে ‌'রেড জুলাই ডট লাইভ' । এখন থেকে বিবিএন নিউজ পরিবার রেড টু জুলাই এর সাথে কাজ করবে । www.redjuly.net

গেজেট আটকাতে ইউএনও-ডিসির নীলনকশা

Rakibul Islam

প্রকাশ :


২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. এনামুল হককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ওই ফলাফল বাতিল করে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী আরিফুর রহমানকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১০ দিনের মধ্যে আরিফুর রহমানকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়। মাস ঘুরতে এলেও সে গেজেট এখনও প্রকাশ করেনি ইসি।  

উল্টো এই গেজেট আটকাতে মাঠে নেমেছেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) তৌফিকুর রহমান। নির্বাচন কমিশনের কোনো পরামর্শ ছাড়াই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কেবল মৌখিক নির্দেশনাতেই ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা হয়েছে।

আপিলে কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছারের নাম ব্যবহার করা হলেও আবু আনছারের দাবি এ বিষয়ে তিনি জানেনই না। ইউএনও নিজ উদ্যোগে (স্ব-প্রণোদিত হয়ে) আপিল করেছেন বলেও দাবি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার।নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বলছে, কমিশনের পরামর্শ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা দপ্তরের আপিল করার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে— কোন স্বার্থে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ইউএনও নাজমুল ইসলাম? অভিযোগ রয়েছে, গেজেট প্রকাশ ঠেকাতে ইউএনও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে (ইউএনও অফিসের অধীন নির্বাচন অফিসার) প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সরবরাহের নির্দেশ দেন। তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিমের কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র না থাকায় তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. এনামুল হকের কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহের চেষ্টা করেন। ত বে এই কাজ করতে গিয়ে তিনি একটি ভুল করে বসেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. এনামুল হককে টেলিফোন করতে গিয়ে ভুলবশত আদালতের রায়ে বিজয়ী ‘মোবাইল’ প্রতীকের প্রার্থী আরিফুর রহমানকে ফোন করে ফেলেন। 

আপিলের কাগজে দেখেন, আমার কোনো স্বাক্ষর নেই। আপনারা ভুল তথ্য পেয়েছেন। ভয়েস তো এখন এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে বানানো যায়মিরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিম

এরপর গেজেট আটকাতে ইউএনওর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আরিফুর রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চান তিনি। এছাড়া ‘ফরম-চ’ দিয়ে সহায়তা করতে বলেন। ফোনালাপটি আরিফুর রহমান রেকর্ড করেন এবং সেটি ঢাকা পোস্টের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

ওই ফোনালাপে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত করতে আমাদের ফরমাল কপিগুলো লাগবে। আগের ইউএনও নির্বাচনের সব কাগজপত্র বস্তা ভরে নিয়ে গেছেন। আপনারা শতভাগ ভোট কাস্ট করিয়েছেন, মনে পড়ছে না, নাকি? মেয়াদ চলে গেলে তো সে (আদালতের আদেশে যিনি মেয়র হয়েছেন) আর মেয়র হতে পারবে না। এখন আর ভয় পেয়ে লাভ নেই। এই সরকার ডকুমেন্ট চাচ্ছে, দিয়ে দিন। আমি নির্বাচন অফিসার বলছি, কোনো সমস্যা হবে না, এটা কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না?’

তিনি বলেন, ‘কাগজগুলো দিলে, যিনি আদালত থেকে রায় পেয়েছেন তার রায় অফিসিয়ালি বাতিল হয়ে যাবে। আমার কাছে ওই নির্বাচনের তথ্য নেই। বিশেষ করে ওই দুইটা তথ্য পাচ্ছি না। রায় বাতিল করে আমাদের কোনো লাভ নেই। এভাবে যদি প্রত্যেকটা নির্বাচন বাতিল করে, হারা পার্টি যদি বলে আমি বিজয়ী, তাহলে তো সমাজের প্রতি ভালো ম্যাসেজ যাচ্ছে না। ২০২১ সালের হারা পার্টিরা যদি এখন এসে বলে আমরা বিজয়ী, তাহলে কি আমরা সবাইকে শপথ পড়াবো নাকি? আমরা চাচ্ছি যেভাবে চলছে চলুক, তারপর নতুন নির্বাচন হয়ে ঝামেলা মিটে যাক। পুরোনো আরেকজনকে এনে ওই পদটাতে বসাতে চাচ্ছি না।’

আদালতের রায়ে নির্বাচিত প্রার্থী আরিফুর রহমানকে ফোনালাপে (নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হককে ফোন দিতে গিয়ে ভুলবশত আরিফুর রহমানকে ফোনকল) মিরপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউএনও-ই তো আপনার হয়ে আপিল করেছেন। তিনি আপিল করে স্থগিতাদেশ নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখন তো অফিসিয়াল চিঠি নিতে হবে। আপিলের কারণে আগের রায় বাতিল হয়েছে—এটা গেজেট প্রকাশে উল্লেখ করতে হবে। গেজেট প্রকাশে যেসব ডকুমেন্ট লাগে, সে ডকুমেন্টগুলো উনিও (ইউএনও) দিতে পারছেন না, আমিও দিতে পারছি না।’আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকেও ফোনে নির্দেশনা এসেছে। যেহেতু আমরা আগের মামলায় বিবাদী ছিলাম, তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আপিল করা হয়েছেমিরপুর ইউএনও মো. নাজমুল ইসলাম

ফোনকলে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে রায়ের কপি পাঠাচ্ছি, আপনি পড়ে ওই দুইটা চিঠি পাঠান। ইউএনও চাচ্ছেন না নতুন মেয়র আসুক। এজন্য উনি আপনার হয়ে আপিল করেছেন। আমরা এটা না আটকালে উনার (আরিফুর রহমান) গেজেট হয়ে যাবে।’

‘আপিল তো সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরই করার কথা’ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনার হয়ে ইউএনও আপিল করেছেন। আপিলটা করা হয়েছে পিঠ বাঁচানোর জন্য। নিয়মের বাইরেও অনেক কিছু করা হচ্ছে। এখন যেকোনো মূল্যে ট্রাইব্যুনালের আদেশটা থামাতে হবে।’

এই কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাঈফ আহমেদ নাসিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি ওই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ছিলাম না, কোনো দায়িত্বেও ছিলাম না। আপিলের কাগজে দেখেন, আমার কোনো স্বাক্ষর নেই। আপনারা ভুল তথ্য পেয়েছেন। ভয়েস তো এখন এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে বানানো যায়।’

তিনি বলেন, ‘এই কাজটি ইউএনও নিজ উদ্যোগে করেছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা আমার কোনো পরামর্শ ছাড়াই তিনি (ইউএনও) আপিল করেছেন। আপিলে ইউএনও’র স্বাক্ষর আছে, আমাদের কারো স্বাক্ষর নেই।’

জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছি। আমরা গভর্নমেন্ট প্লিডারকে (জিপি) বলেছিলাম আপিল করতে এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকেও ফোনে নির্দেশনা এসেছে। যেহেতু আমরা আগের মামলায় বিবাদী ছিলাম, তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আপিল করা হয়েছে।’আমাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বলেছিল, বিষয়টি দেখার জন্য। এ প্রেক্ষিতেই আমি ইউএনও’কে বলেছিলাম বিষয়টি দেখার জন্যডিসি মো. তৌফিকুর রহমান

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নাম কীভাবে এলো সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জেলা অথবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নাম কীভাবে এলো, সেটা আমরা জানি না। আমরা গভর্নমেন্ট প্লিডারকে (জিপি) বলেছিলাম আপিল করতে, জিপি এটা পক্ষভুক্ত করেছে। এখানে তারা কীভাবে পক্ষভুক্ত হলো এটা আমি জানি না। আপিল করার এখতিয়ার যদি আমাদের না থাকতো, তাহলে শুনানি হতো না। এটা রাষ্ট্রপক্ষ করেছে, ডিসি স্যার বিষয়টি জানেন। আমাদের কাছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল, আমরা সেই অনুযায়ীই কাজ করেছি।’

কুষ্টিয়া আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইউএনও সাহেব বলার পরই আমি আপিল করেছি। স্ব-প্রণোদিত হয়ে আমি আপিল করতে যাব কেন? আপিল করলে আমার লাভটা কী? রায় পেলে কি মেয়র আমি হবো? ইউএনও আমাকে চিঠির মাধ্যমে নয়, হোয়াটসঅ্যাপে কাগজপত্র দিয়ে আপিল করতে বলেছেন। আমি ইউএনও’র মৌখিক নির্দেশে আপিল করেছি।’

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আবু আনছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মিরপুর পৌরসভার কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করিনি। এটা ইউএনও করেছেন। ইউএনও আমাকে জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) আপিল করতে বলেছে। আমাকে উনি বলেন, আপনি আপিল করবেন কি না? আমি ইউএনও’কে বলেছি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ছাড়া আপিল করার কোনো সুযোগ নেই। পরে তিনি নিজেই আপিল করেন। তাকে জিজ্ঞেস করেছি আপিলে আমার নাম কেন ব্যবহার করলেন? উত্তরে তিনি বলেন, জিপি করে দিয়েছে।’ 

পুরো ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমার জানা মতে রিটার্নিং অফিসারই আপিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়াই আপিল করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। আমার কাছে আপিলের কপি দেয়নি। হয়তো আপিল নির্বাচন অফিসারই করেছে। আমি সঠিক জানি না।’

প্রশাসক পদ না ছাড়ার জন্য আপনারা নিজ উদ্যোগে আপিল করেছেন— এমন অভিযোগের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সরকার যখন যাকে দায়িত্ব দেয় তখন সে দায়িত্ব পালন করবে। আমি আইন না দেখে আপিলের বিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না। জেলা নির্বাচন অফিসার কেন জানে না, সেটা তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। যদি আইন কাভার না করে এবং বিবাদী যদি আর্জি জানায়, তাহলে সেটা বাদ হয়ে যাবে।’

ইউএনও নিজ উদ্যোগে আপিল করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন কি না এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, ‘শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ হয়েছে কি না আইন না দেখে বলতে পারবো না। কোন গ্রাউন্ডে করেছে এটা আমাকে দেখতে হবে।’

বিষয়টি শুরু থেকে জানতেন কি না— এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, ‘আমাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বলেছিল, বিষয়টি দেখার জন্য। এ প্রেক্ষিতেই আমি ইউএনও’কে বলেছিলাম বিষয়টি দেখার জন্য। মন্ত্রণালয় থেকে ফোনে আমাকে জানিয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয় থেকে আপিল করার জন্য কিছু বলেছিল কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। কারণ, উনারা অফিশিয়ালি কিছু বলেননি। সে জন্য এটা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ইউএনও যদি শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে।’

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রশাসককে জিজ্ঞেস করুন- আপনি কোন অধিকারে এটা করেছেন। কারণ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব এর উত্তর দিতে পারবে না বা তার এখতিয়ারও নেই। আমার অফিসারও এটা করতে পারে না। কেন পারবে না, তার কারণ হলো, আমি তাকে অথরাইজ করিনি। তাহলে কেন পারবেন? এক কথায় সে (নির্বাচন অফিসার) পারে না। এখন ইউএনও পারে কিনা সেটা তিনি বলতে পারবেন। ইউএনও’র বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিবকে জিজ্ঞেস করেন।’  

ইউএনও এবং ডিসির এখতিয়ার বহির্ভূত এই কাজ প্রসঙ্গে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এই প্রথম আপনার কাছে বিষয়টা জানতে পারলাম। আমি খোঁজ নিয়ে জানি যে, আসলে বিষয়টা কী। আমি এই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানতাম না। আমাকে কোনো কপি বা অফিসিয়ালি কোনো চিঠির মাধ্যমে কোনো কিছু জানানো হয়নি। আমার অফিসার যদি শৃঙ্খলা বহির্ভূত কিছু করে এবং নির্বাচন কমিশন যদি আমাকে জানায় সে ক্ষেত্রে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো। আমি বিষয়টা এখন খোঁজ নিয়ে দেখবো, আসলে তারা কার হয়ে কাজ করেছে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত