প্রকাশ :
পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবির তুলকারমে ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বলেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে এক বিমান হামলার স্থানীয় একজন হামাস নেতা নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রামাল্লা থেকে এএফপি জানায়, ২০০০ সালের পর পশ্চিম তীরের বিমান হামলাটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে,‘তুলকারম ক্যাম্পে দখলদারদের বোমা হামলায় ১৮জন শহিদ হয়েছেন।’ সেনাবাহিনীর একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে এটিকে শিন বেট অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযান বলে বর্ণনা করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পরে বলেছে, হামলায় তুলকারমে হামাস নেতা জাহি ইয়াসের আবদ আল-রাজেক ওউফি নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী ওউফিকে পশ্চিম তীরে অসংখ্য হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ করেছে এবং আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ছিল বলে দাবি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়,‘ওইফির পাশাপাশি, তুলকারমে হামলাকারী নেটওয়ার্কের অংশ ছিল এমন একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।’ হামাস বিমান হামলার নিন্দা করেছে এবং একে ‘নিষ্ঠুর হামলা’ বলে অভিহিত করে বলেছে, এটি একটি ‘বিপজ্জনক মাত্রায় উসকানি’ হিসেবে প্রমাণিত হবে। টেলিফোনে যোগাযোগ করে ক্যাম্পের কর্মকর্তা ফয়সাল সালামা এএফপিকে বলেন, একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দ্বারা হামলাটি পরিচালিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে। হামাসের ওই হামলার পর থেকে, ইসরাইলি সেনা বা বসতিস্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৭০১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক গত মাসে বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি অভিযান কখনও কখনও এমন মাত্রায় ঘটেছে যা গত দুই দশকে আর দেখা যায়নি ।