প্রকাশ :
সোমবার ঢাকার মালিবাগ মোড়ে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার বৈপ্লবিক ১৭ দফা দাবী!
নিজস্ব প্রতিবেদক: “পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান একটি দেহের মত। এই দেহের মধ্যে যদি তার চক্ষু পীড়িত হয় তবে তার সমগ্র দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। যদি তার মাথা অসুস্থ হয় তাহলে সমগ্র শরীরই অসুস্থ হয়ে পড়ে।”-এটা মুসলিম শরীফে বর্ণিত পবিত্র হাদীস শরীফ। তাই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কোনো মুসলমানকে কষ্ট দিলে সারা পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান কষ্ট পান।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মানবতার বুলি উড়ানো পশ্চিমাদের সমর্থনে মুসলমানদের দেশ ফিলিস্তিনে ইহুদি পরগাছা ইসরাঈল কর্তৃক অবৈধ দখল পুনরুদ্ধার, অবৈধ ইহুদি দেশ ইসরাঈল মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনকে দেয়ার দাবী, বিশ্ব সন্ত্রাসী জাতি ইহুদি কতৃক মুসলমানদের গণহারে শহীদ করা বন্ধের দাবী, ফিলিস্তিনে বেসামরিক লোকদেরকে অবরোধ করে ক্ষুৎপিপাসায় ধুকে ধুকে শহীদ করা, মুসলমানদের বাড়ি-ঘর, মসজিদ, গোরস্তান সব গুড়িয়ে দেয়া বন্ধ করা; প্বার্শবর্তী দেশ ভারতে মুসলমানদের প্রতিদিন বিভিন্ন অজুহাতে শহীদ করা, মুসলমান মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করা এমনকি মৃত মুসলিম নারীদেরকেও কবর থেকে তুলে সম্ভ্রম করার মত ঘোষণা দেয়া, মুসলমানদেরকে মসজিদে ঢুকে শহীদ করার হুমকি দেয়া, বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করা, দোকানপাট লুট করা, মসজিদ-মাদরাসা-গোরস্থান গুড়িয়ে দিয়ে মাঠ বানানো, মন্দির বানানো এমনকি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করা, পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়াসহ মুসলমানদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে ১২ দফা দাবী উত্থাপন করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা। আজ ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে ফালইয়াফরাহু চত্বরে এক সমাবেশে তারা এ দাবী উত্থাপন করেন।
ফিলিস্তিন ও ভারতসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি অন্যায় জুলুম বন্ধ করে ইনসাফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার বৈপ্লবিক ১৭ দফা দাবী
১৯৪৮ সালের ১৮ই মে পরগাছা ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইলের জন্ম হয় ইহুদিসংঘ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিতকরণ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে। সেদিন ইহুদিসংঘ ফিলিস্তিনের ৪৫ শতাংশ ভূমি ফিলিস্তিনি মুসলমানদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদিদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী ইহুদিবাদী কুচক্রী সন্ত্রাসী থিওডোর হার্জলের কুপরামর্শে ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বালাফর ফিলিস্তিন ভূখন্ডে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পর ইউরোপ থেকে বিপুল সংখ্যক ইহুদি এসে ফিলিস্তিন ভুখন্ড দখল করে সেখানে বসবাস শুরু করে। ১৯১৯ সালে ফিলিস্তিনে ইহুদির সংখ্যা ছিল কয়েক হাজার। ১৯৩১ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার হয়। ১৯৪৮ সালে যখন ইহুদিসংঘ পরগাছা ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখন সেখানে ইহুদিদের সংখ্যা হয় ছয় লাখ। এভাবেই অবৈধভাবে জোর করে মুসলমানদের দেশ ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে জন্ম হয় দখলদার পরাগাছা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের্।
ইহুদিরা ফিলিস্তিনের ভূখন্ড দখল করে পরগাছা ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পরেই প্রতিদিন ফিলিস্তিনে ছোট বড় নানান সন্ত্রাসী হামলা শুরু করে। তারা প্রতিদিন সীমান্ত বৃদ্ধি করে, মুসলমানদের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়, নিরীহ নিরস্ত্র মুসলমানদের গণহারে শহীদ করতে থাকে আর পৈশাচিক আনন্দ করতে থাকে- যা আজ অবধি চলছে। শুধুমাত্র গাজা উপত্যকাতেই গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে ৭ অক্টোবর ২০২৪ পযন্ত কমপক্ষে ৫৭,০০০ শিশু এবং ৫১,৪৮৭ নারী সহ কমপক্ষে ২,৪১,৯০৯ ফিলিস্তিনি মুসলমানকে শহীদ করেছে পরগাছা ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী আইডিএফ। আহত হয়েছেন প্রায় ১,৩৭,৩০৩ জন। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার হাজার শহীদদেরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায়, হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক অনেক বেশি। যেটি ৩ লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার মুসলিম পরিবারের উপর গনহত্যা চালিয়েছে ইহুদি ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী। গর্ভবতী মুসলিম মাকে শহীদ করা হয়েছে, সদ্য ভূমিষ্ঠ ৫৭১ জন বাচ্চাকে শহীদ করে পৈশাচিক আনন্দ করেছে সন্ত্রাসী জালিম ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এক বছরের কম বয়সী ১৭১০ জন শিশু রক্তপিপাসু ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছে। দুই শতাধিক সাংবাদিক, ১০৮৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং শত শত সিভিল ডিফেন্স ক্রুকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। গাজা থেকে ৫,০০০ ফিলিস্তিনিকে আটক ও অপহরণ করেছে ইসরাইলি সেনারা। ৮১৪ টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১১ টি। তিনটি চার্চ এবং ১৯টি কবরস্থান গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। কোথাও খাবার নেই, পানি নেই। খাবার-পানির গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা গাজায়। শিশুদের খাবার নেই। ক্ষুধায় শহীদ হয়ে যাচ্ছে অনেকেকে! রাস্তায় শহীদ মুসলমান ভাই-বোনদের লাশ আর লাশ। তারা তো আমাদেরই মতই রক্তে গোস্তে মানুষ। আমাদের-আপনাদের মুসলিম ভাই। উনাদের জন্য কিছু করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব, বিশ্ব বিবেকের দায়িত্ব। মজলুম মুসলমানদের রক্ষার জন্য জিহাদ করাটা ফরজ। না হয় মহান আল্লাহর কাছে কী জবাব দিবেন?!
এতদ্বপ্রেক্ষিতে আমাদের দাবী-
১. ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে অবশ্যই ফিলিস্তিন ভূখন্ড ফিরিয়ে দিতে হবে। ইসরাইল কোন বৈধ রাষ্ট্র নয়। ইসরাইলের সমস্ত ভুমির মালিক ফিলিস্তিনের মুসলিম জনগণ। তাই ইসরাইলকে বিলুপ্ত করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।
২. ইউরোপ থেকে যে বিপুল সংখ্যক ইহুদি ফিলিস্তিন দখল করেছে তাদেরকে আবার ইউরোপে ফিরে যেতে হবে।
৩. ১৯৪৮ সালের ইহুদিসংঘ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের যে প্রস্তাব ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করেছে তা বাতিল করতে হবে।
৪. ইহুদিরা মুসলমানদের যত বসতবাড়ি, মসজিদ, গোরস্থান গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলকে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেই ইসরাইলকে অবৈধ এবং সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।
৬. পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশকে ফিলিস্তিনের সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে অস্ত্র, সৈন্য, প্রযুক্তি, অর্থ সব কিছু দিয়ে ইসরাইল এবং তার সমর্থক সমগোত্রীয়দেরকে প্রতিহত করতে হবে।
৭. মুসলিম অমুসলিম সকল দেশকেই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। তাকে কোনো রকম সহযোগিতা করা যাবেনা। ইসরাইলি এবং তার সহযোগীদের সকল পণ্যও বয়কট করতে হবে।
৮. পৃথিবীর সকল মুসলমানকেই ইসরাইলের এবং তার সমগোত্রীয়দের বিরুদ্ধে বদদোয়া করতে হবে। দোয়া মুসলমানের অস্ত্র। আর জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া করা, জালিমকে ধংসের জন্য দোয়া করা ফরজ।
ভারতেও প্রতিদিন মুসলমানদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে শহীদ করা হচ্ছে। গরুর গোস্তের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু সংস্থা (ভিএইচপি), বজরং দল, শিবসেনা, গৌ রখিয়া ইত্যাদি দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে “যদি তুমি একজন মুসলমানকেও হত্যা করো, মুক্তির দরজা খুলে যাবে।” তারা ‘শস্ত্র পূজন’ কর্মসূচির আয়োজন করে, যা নেতৃত্ব দেয় বিকাশ বর্মা। সেখানে বেশ কিছু রাইফেল, পিস্তল এবং তলোয়ার প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের সময় একজন বক্তা দাবি করে যে মুসলমানদের হত্যা করা পাপ নয়।
মুসলমান মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করা হচ্ছে। এমনকি মৃত মুসলিম নারীদেরকেও কবর থেকে তুলে সম্ভ্রম করার মত ঘোষণা দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ। “হিন্দুদের উচিত ১০ জন করে একেকটি দল তৈরি করা, যাদের কাজ হবে মুসলিম মা-বোনদের রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা।’ এভাবেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের উসকে দিয়েছে বিজেপি নেত্রী সুনীতা সিং। বন্দিনী মুসলমানদেরকেও জেলখানাতে সম্ভ্রমহানির থবরও আসছে।
মুসলমানদেরকে মসজিদে ঢুকে শহীদ করার হুমকি দিয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক নিতেশ রানে। আবার অনেক প্রদেশে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আসামে প্রায় ১,৫০০ মুসলিম পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মুসলমানদের দোকানপাট লুট করা হচ্ছে, মসজিদ-মাদরাসা-গোরস্থান গুড়িয়ে দিয়ে মাঠ বানানো, মন্দির বানানো হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ১৭০০ মাদরাসাকে স্কুলে পরিণত করা হয়েছে। মাদরাসার ছাত্রদেরকেও গীতা পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানেও মানহানী করেছে মালাউন পুরোহিত রামগিরি। ত্রিপুরায় মজজিদ জালিয়ে দেয়া হয়েছে, পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দেয়া হয়েছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলিমদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, স্থাপনা ও রাস্তার নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশে বৈষম্যমূলক কর্মসংস্থান নীতির মতো ভারতের সব রাজ্যেই মুসলিম জনসংখ্যাকে লক্ষ্য করে বৈষম্যমূলক নীতি এবং অনুশীলনের একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব কর্মকান্ড মুসলিমদের মৌলিক অধিকারকে মারাত্মকভাবে লংঘন করেছে এবং বৈরিতা ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই রকম আরো অনেক জুলুমের ঘটনা ঘটছে ভারতে।
উদ্বেগের এই বিষয়গুলোর প্রেক্ষিতে আমাদের দাবি –
১। ভারতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি প্রত্যাহার করতে হবে।
২। গরুর গোস্ত খাওয়া বৈধ। এর জন্য আইন পাস করতে হবে। গরুর গোস্তের জন্য মুসলমান শহীদ করা যাবেনা।
৩। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা সহিংসতা উস্কে দেয় এমন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪। মুসলমানদের মাদরাসাগুলো বন্ধ করা চলবেনা। যেসমস্ত মাদরাসা বন্ধ হয়েছে সেগুলো পুনরায় সরকারীভাবে চালু করতে হবে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। আসাম এবং অন্যান্য অঞ্চলে মুসলিম পরিবারদের উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। যেসব মুসলমানদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদেরকে মানবাধিকার নীতি এবং পর্যাপ্ত পুনর্বাসনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
৬। মসজিদ, মাজার, ঈদগাহ এবং কবরস্থানসহ ধর্মীয় স্থানগুলিকে ধ্বংস ও অপবিত্রতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
৭। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভিএইচপি, বজরং, শিবসেনা, গৌরখিয়াসহ সকল উগ্রবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। উগ্রবাদী হত্যা ও সম্ভ্রমহানির উস্কানীদাতা সকল নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে শাস্তির বিধান করতে হবে।
৮। কালপনিক মামলার অজুহাতে মসজিদ ভাঙ্গা যাবেনা।
৯। মুসলামনদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
ভারতে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা এবং নিপীড়ন কেবল একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমরা আশা করি যে ভারত সরকার এই প্রতিবাদের প্রাপ্য গুরুত্ব সহকারে সাড়া দেবে এবং তার সমস্ত নাগরিকের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার শতাধিক কর্মী ও শতাধিক আম জনতা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্মন করেন। ফেস্টুনের লেখাগুলো ছিলো- ১। ফিলিস্তিনে ও ভারতে মুসলমানদের উপর জুলুম বন্ধ করো, ২। ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে তাদের ভুখন্ড ফেরত দাও, অবৈধ পরগাছা ইসরাইল মিটিয়ে দাও, ৩। ইসরাইলকে অবৈধ এবং সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।, ৪। সন্ত্রসী ইসরাইল ও হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে বদদোয়া করুন, ৫। গরুর গোস্তের জন্য মুসলমানদের শহীদ কেনো? জবাব চাই, ৬। কল্পকাহিনীর উপর নির্ভর করে মামলা করে মসজিদ ভাঙ্গা যাবেনা, ৭। ইসরাইলকে বিলুপ্ত করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।, ৮। বিশ্ব মুসলিম এক হও। ইহুদি মুশরিক প্রতিহত করো।, ৯। ইহুদি আর মুশরিকরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু।, ১০। ভারতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি প্রত্যাহার করতে হবে, ইত্যাদি।
উপস্থিত সবাই স্লোগান দিয়ে ফিলিস্তিন, ভারতসহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের উপর জুলুম বন্ধ করার দাবী জানান।