প্রকাশ :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজার মূল পর্ব। আজ থেকে শুরু পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। আজ বুধবার মহাষষ্ঠী। দেবী দুর্গার ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশস্তা। সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। মাতৃরূপে আজ মন্ডপে মন্ডপে ঠাঁই নেবেন দেবী। শঙ্খ ধ্বনি, ধূপের সুঘ্রাণ ঢাক-ঢোলের সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে উঠবে পূজোমন্ডপগুলো। পঞ্জিকা মতে জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন ঘোটকে চড়ে। পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম বসন্তকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। পরে রামচন্দ্র তাঁর পতœী সীতাদেবীকে উদ্ধারের জন্য শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। শরৎকালের এই পূজাকে অকাল বোধন বলা হয়। প্রতিমা দেখেই ভক্তের মনের ভাব প্রকাশিত হয়। তাই, ভক্ত নিজের হৃদয়ে, ঘটে এবং প্রতিমায় দেবী দুর্গার পূজা করে থাকেন। আসুরিক শক্তির বিনাশ আর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে দেবী দুর্গার আরাধনা করে আসছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী পূজা। শঙ্খ-ধ্বনি, উলুধ্বনি আর নব পত্রিকায় প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবী মহিষাসুর মর্দিনীর আরাধনা। দুর্গা পূজায় প্রতিদিনই অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। আগামীকাল নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এছাড়া,শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি। ফলে, এবার দুর্গাপূজা চার দিনের ছুটিতে গড়াবে। দুর্গা পূজা উপলক্ষে নগরীর পূজোমন্ডপগুলো সাজানো হয়েছে রকমারী সাজে।